
লন্ডন: মাত্র চার মাস আগের ঘটনা। প্রাক্তনী ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের(Frank Lampard) কাজে অখুশি ক্লাব কর্তৃপক্ষ কোচের পদ থেকে ছাঁটাই করে দেয় তাঁকে। দিনদু’য়েকের মধ্যে দায়িত্ব গ্রহণ করেন পিএসজি থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা থমাস টাচেল(Thomas Tuchel)। আশা-আশঙ্কার দোলাচলে ভুগতে থাকা চেলসি(Chelsea) সমর্থকেরা তখন ঘুণাক্ষরেও টের পাননি যে মরশুম শেষে ৯ বছর আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। স্বভাবতই শনিবাসরীয় এস্তাদিও দো দ্রাগাও(Estadio Do Dragao) স্টেডিয়ামে কাই হ্যাভার্তজের(Kai Havertz) গোলটা চেলসির ফুটবল ইতিহাসে ফের এক স্মরণীয় অধ্যায় রচনা করে গেল।
ইউরোপ সেরা হয়ে রবিবার বিকেলেই দেশে ফিরল চেলসির বীর যোদ্ধারা। ক্লাবের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল শীঘ্রই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি দর্শকদের খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ করে দেওয়া হবে। পোর্তোয়(Porto) সমর্থকদের সঙ্গে সেলিব্রেশনের সুযোগ থাকলেও দেশে ফিরে করোনা-বিধির গেরোয় ট্রফি নিয়ে শহর পরিক্রমা এদিন হল না। কোবহাম(Cobham) ট্রেনিং গ্রাউন্ডে চলল ট্রফি সহযোগে টিমের ফটোসেশন। এরপর পরিবারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন সকলে। ট্রফি জয় যতোটা জমকালো ছিল, শহরে ফিরে এদিনের সেলিব্রেশন ততোটাই ম্যাড়মেড়ে।
ক্লাবের তরফ থেকে করা টুইটে লেখা হয়েছে, ‘কোবহামে ফিরল দল। আপাতত ফুটবলাররা বাড়ি ফিরবেন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে। তবে খুব শীঘ্রই সমর্থকদের কাছ থেকে ট্রফি দেখার সুযোগ করে দেওয়া হবে।’ তবে হোমগ্রাউন্ড স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের(Stamford Bridge) বাইরে শনিবার রাতের ছবিটা ছিল অন্যরকম। স্বভাবতই সেখানে উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙেছিল সমর্থকদের। পোর্তোয় যারা যেতে পারেননি তারা লন্ডনেই(London) সেলিব্রেশন সেরেছেন দেদার। অনেক রাত অবধি পার্টি-সেলিব্রেশন চলে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের বাইরে। মরশুমের মাঝপথে পিছিয়ে পড়া দলটার থেকে যেহেতু মরশুম শেষে বিশেষ প্রত্যাশা ছিল না, তাই এই খেতাব যেন আরও স্পেশ্যাল। আর সেটাকে স্মরণীয় রাখতে চেষ্টার ত্রুটি ছিল না অনুরাগীদের।
গতকাল জয়ের পর আগামী মরশুমের লক্ষ্য প্রসঙ্গে টাচেল জানিয়েছেন, ‘উচ্চতা আমরা নিজেরাই তৈরি করে নিলাম। ফলত সেলিব্রেশন শেষ হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটাকে হজম করে ফেলতে হবে। তবে এই মুহূর্তকে আবর্তিত করেই পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করব আমরা এবং অবশ্যই এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাব।’
ন’বছর আগে চেলসি প্রথম যখন ইউরোপ সেরা হয়েছিল, তখন ভিয়াস বোয়াসের(André Villas-Boas) পরিবর্তে মাঝপথে দায়িত্ব নিয়ে চমক দিয়েছিলেন রবার্তো দি মাত্তেও(Roberto Di Matteo)। ল্যাম্পার্ড সরে যাওয়ার পর এবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল টাচেলের হাত ধরে। পোর্তোর(Porto) ফাইনালে কাই হ্যাভার্তজের(Kai Havertz) গোলে সিটিকে হারিয়ে ২০১১-১২ পর ফের ইউরোপের সিংহাসনে ‘দ্য ব্লুজ'(The Blues)।
The post ইউরোপ সেরা হয়ে দেশে ফিরল চেলসির বীর যোদ্ধারা appeared first on Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper.
from Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper https://ift.tt/3fCssGq
No comments:
Post a Comment