
পোর্তো: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ(UCL Final) ফাইনালে ১০০ শতাংশ জয়ের সাফল্য নিয়েই এস্তাদিও দো দ্রাগাও স্টেডিয়ামে(Estádio do Dragão) এদিন নেমেছিলেন পেপ গুয়ার্দিওলা(Pep Guardiola)। বার্সেলোনাকে দু’বার ইউরোপ সেরা করা স্প্যানিশ কোচের মগজাস্ত্রেই প্রথমবার ইউরোপ সেরা হওয়ার স্বপ্ন দেখছিল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি(Manchester City)। বিপক্ষ ডাগ-আউটে থমাস টাচেল(Thomas Tuchel) আবার গত মরশুমে পিএসজি(PSG)-কে ফাইনালে তুলেও খেতাব জিততে ব্যর্থ হয়েছিলেন। রেকর্ড গড়ে এবছর চেলসিকে(Chelsea) ফাইনালে তুলে অধরা মাধুরি জয়ের স্বপ্নে বুঁদ ছিলেন তিনিও। আর দুই কোচের মগজাস্ত্রের এক উপভোগ্য লড়াই ছিল শনিবাসরীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের অন্যতম ইউএসপি। উত্তেজক সেই লড়াইয়ে টাচেলের কাছে বশ্যতা স্বীকার করলেন গুয়ার্দিওলা।
পোর্তোর(Porto) মেগা ফাইনালে ম্যান সিটিকে হারিয়ে কিস্তিমাত টাচেলের। আর জার্মান কোচের হাত ধরে ন’বছর পর আবারও ইউরোপ সেরা চেলসি। প্রথমার্ধে কাই হ্যাভার্তজের(Kai Havertz) করা একমাত্র গোল মেগা ফাইনালে পার্থক্য গড়ে দিল দু’দলের মধ্যে। অথচ মরশুমের শুরুতে বায়ার্ন লেভারকুসেনকে প্রায় ৭৫ মিলিয়ন পাউন্ড ট্রান্সফার-ফি দিয়ে ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড(Frank Lampard) হ্যাভার্তজকে দলে নেওয়ায় ভ্রু কুঁচকেছিলেন অনেকেই। জার্মানির ২১ বছরের ছেলেটা আজ যখন পার্থক্য গড়ে দিল তখন নিশ্চয় সবার অলক্ষ্যে মুচকি হাসছিলেন ল্যাম্পার্ড।
হ্যাভার্তজ(Kai Havertz), চিলওয়েল(Ben Chilwell), ওয়ের্নারের(Timo Werner) মতো একাধিক প্রতিভাবানকে দলে নিয়ে এসেও মরশুমের মাঝপথে দায়িত্ব ছাড়তে হয়েছিল ল্যাম্পার্ডকে। আর মরশুম শেষে সেই ছেলেগুলোকে নিয়ে বাজিমাত করে টাচেল যেন বুঝিয়ে দিলেন সম্পদ কীভাবে আগলাতে হয় ভালো করে জানা রয়েছে তাঁর। চেলসির সংগঠিত রক্ষণ যেন আজ চক্রব্যুহ। যা ভেদের সুযোগই পেলেন না মাহরেজ(Riyad Mahrez), দি ব্রুয়েনা(Kevin De Bruyne) কিংবা পরিবর্ত হিসেবে নামা জেসুস(Gabriel Jesus), আগুয়েরোরা(Kun Aguero)। ৩৯ মিনিটে আবার দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা(Thiago Silva) চোট পেয়ে মাঠে ছাড়েন। তবুও বাকি সময়টা ব্রাজিলিয়ানের অভাব বুঝতেই দিলেন না অ্যাজপিলিকুয়েতা(Cesar Azpilicueta), ক্রিস্টেনসেনরা(Andreas Christensen)।
সিলভা মাঠ ছাড়াও তিন মিনিট বাদে ম্যাচে কাঙ্খিত গোল ‘ব্লুজ’-দের। প্রতি-আক্রমণে গোলরক্ষক মেন্ডির(Edouard Mandy) বাড়ানো বল চিলওয়েল হয়ে মাউন্টের(Mason Mount) পায়ে পড়তেই তিনি থ্রু বাড়ান হ্যাভার্তজের উদ্দেশ্যে। গোললাইন ছেড়ে সিটির আগুয়ান গোলরক্ষক এডেরসনকে(Ederson Moraes) প্রথমে পরাস্ত করেন লেভারকুসেনের প্রাক্তনী। এরপর ঠান্ডা মাথায় ফাঁকা গোলে বল রেখে গ্যালারিতে ৬ হাজার চেলসি সমর্থককে আন্দোলিত করেন তিনি।
নির্ধারিত সময়ের প্রায় আধঘন্টা আগে সিটির জন্য দুঃসংবাদ বয়ে আনে দি ব্রুয়েনার চোট। রুডিগারের(Antonio Rüdiger) সঙ্গে সংঘর্ষে চোখে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বেলজিয়ানকে। পরিবর্ত জেসুস নামলেও চেলসির আঁটোসাটো রক্ষণের ডেডলক খোলা সম্ভব হয়নি তাঁর পক্ষে। বরং ৭২ মিনিটে চেলসির হয়ে গোলের ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন পরিবর্ত পুলিসিচ(Christian Pulisic)। আরেকজনের কথা না বললেই নয়, তিনি এনগোলো কান্তে(N’Golo Kante)। সারা মাঠ দৌড়ে যেন একাই হারিয়ে দিলেন সিটিকে। ৭৭ মিনিটে আগুয়েরো নামলেন বটে। কিন্তু ফেয়ারওয়েল ম্যাচে সিটির জার্সিতে অধরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের মতো কিছু করতে পারলেন না।
নির্ধারিত সময়ের একেবারে অন্তিম মিনিটে আচমকা একটা সুযোগ পেয়েছিলেন মাহরেজ। কিন্তু তা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর সংযুক্তি সময়ের ৭ মিনিট গোলদুর্গ অক্ষত রেখে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন চেলসি ফুটবলাররা।
The post ম্যাঞ্চেস্টার সিটিকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার ইউরোপ সেরা চেলসি appeared first on Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper.
from Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper https://ift.tt/3yLuzix
No comments:
Post a Comment