
সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় : মোবাইল (mobile) সেফ হোম (safe home)। হ্যাঁ, এমনও হয়। সেই চেষ্টাই করেছে টিম ওটুকু সবার (o2ku sobar)। এবার ওটু এই কথাটি তাদের ব্যানারে লেখা হয়েছে অক্সিজেনের রাসায়নিক সংকেতের মতো। তারপর বাকি লেখাটি। এই দলে রয়েছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় (srijit mukherji) , রানা সরকার, অর্কদীপ মল্লিক নাথ ও চৈতালি বিশ্বাস। সহায়তা করেছে রাজ্য সরকার।
এই প্রসঙ্গে চৈতালি বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘উত্তর ২৪ পরগনা পাঁচটি এলাকা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাঁচটি এলাকায় চালু হয়েছে মোবাইল সেফ হোম। পরিকল্পনায় ওটুকু সবার। সহযোগিতা ও উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সরকারি স্তরের নোডাল অফিসারদের তত্ত্বাবধানে এই দশটি বাস চলবে গোটা এলাকায়। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় বাস পিছু তিনজন কোভিড কর্মী, বাস চালক নিযুক্ত করা, বাসের পরিকাঠামো জোগাড় করা, কনসেন্ট্রেটর ও সিলিন্ডার আনানো, বাসে ইলেকট্রিক লাইন করানো, বিডিও ও ডিএমদের সাথে মিটিং, গ্রুপ বানানো, কাজ বোঝানো সব করা হয়েছে। এক অসম্ভবকে সম্ভব করেছে রানাদা, অর্কদীপ এবং নেপথ্যে থেকে যাওয়া আরও অনেকে। আমাদের কাজ সবে শুরু হল, আশা করছি মানুষ পরিষেবা পাবেন সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাত ধরেই।’
একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘রাজ্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ এই কাজে আমাদের পাশে থাকার জন্য, অর্কদীপের ভাবনাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধু, অনুদান দেওয়া মানুষজন এবং আমাদের কোভিড কর্মীদের গোটা টিমকে। ধন্যবাদ, এক প্যাকেট উম্মিদকেও। ধন্যবাদ সৃজিতদাকে, যে না থাকলে ওটুকু সবার মানুষের কাছে এত সহজে পৌঁছে যেত না। ধন্যবাদ অমিতদাকে, সারাদিন নর্থে গিয়ে কাজ করার জন্য।’
তাঁর আশা ‘সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে আমরা পৌঁছে যাব গ্রামে-নগরে-বন্দরে।’ তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রতিটি বাসের চালক, খালাসিদের। ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকার নোডাল অফিসারদের। কারণ তিনি মনে করেছেন ‘প্রত্যেকে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, এর কোনও পারিশ্রমিক হয় না।’
পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘O2কু সবার এবং রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে দুই ২৪ পরগনার জেলা হাসপাতালে রয়েছে আমাদের দশটি অক্সিজেন বাস। রোগীদের অক্সিজেন পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে হাসপাতাল সুপারের তত্ত্বাবধানে। আমাদের স্বেচ্ছাসেবক চব্বিশ ঘণ্টা রয়েছেন সেখানে। জেলার দায়িত্ব সামলাচ্ছে অমিত গাঙ্গুলি দা এবং অর্কদীপ। সাথে আছে আরও অনেকে।প্রয়োজনে রোগী রেফার করুন। বাড়িতে ফেলে রাখবেন না।’
ঠিক একইভাবে সৌরভও অনেক আগেই এগিয়ে এসেছেন মানুষের সাহায্যের জন্য। তৈরি করেছেন অক্সিজেন পার্লার। সেটি তৈরি করা হয়েছে দুটি বাসের মাধ্যমে। দুটি বাসে অক্সিজেন পার্লার থাকবে যাতে চল্লিশ জন অক্সিজেন নিতে পারছেন। রয়েছে মোবাইল অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক-এর পরামর্শ এবং অক্সিজেন রিফিলিং ভ্যান-ও সরবরাহ করব। এছাড়া কুড়িটি গাড়ি অক্সিজেন ভর্তি থাকবে যা সাহায্য করবে আক্রান্তদের। এছাড়াও পুষ্টিকর খাদ্য ও কোভিড কিট প্রদান করা হবে, করোনা আক্রান্তদের জন্য খাবার,ডাক্তারের পরামর্শ,মোবাইল অ্যাম্বুলেন্স এর ব্যাবস্থাও রয়েছে। পাশাপাশি পূর্ব এবং পশ্চিম মেদনীপুরে প্লাজমা ডোনেট করা যাবে এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে চারটি মোবাইল অক্সিজেন ভ্যান থাকছে। শালবনীতে তিরিশটি শয্যা বিশিষ্ট সেফ হোমের ব্যাবস্থা করা হয়েছে।
The post রাজ্য সরকারের সহায়তায় জেলায় জেলায় কাজ করছে মোবাইল সেফ হোম appeared first on Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper.
from Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper https://ift.tt/3p6ie49
No comments:
Post a Comment