যে কোনো ভারতীয় পরিবারের অর্জন করা টাকার একটা মোটা অংশ চলে যায় চিকিৎসার খরচে। অদ্ভুতভাবে স্বাধীনতার পর থেকে এই খরচ লাগাতার বেড়েই চলেছে। চিকিৎসায় এই বিপুল খরচের কারণে ভারতের আর্থিক অবস্থায় বড়ো প্রভাব পড়ে। অর্থাৎ ভারতের অর্থব্যাবস্থাকে দুর্বল করার জন্য এই চিকিৎসার খরচ দারুণভাবে দায়ী। লক্ষণীয় বিষয় যে, এলোপ্যাথিক চিকিৎসায় ভারতের বহু অঙ্কের টাকা বিদেশে চলে যায়। কারন এলোপ্যাথিক ওষুধ নির্মাণকারী কোম্পানিগুলির একটা বড়ো অংশ পাশ্চাত্য দেশগুলি থেকে ব্যাবসা করতে আসে।
অন্যদিকে ভারতীয়রা নিজেদের প্রাচীন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ভরসা কমিয়ে দিয়েছেন। তবে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা যে কতটা শক্তিশালী তা আবারও প্রমান করল রক আয়ুর্বেদিক হাসপাতাল। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউশন অফ আয়ুর্বেদ (AIIA) এক চমৎকার করে দেখিয়েছে যা সকলকে অবাক করেছে।
আসলে করোনা ভাইরাসের কারণে রাজধানী দিল্লী সহ বহু শহরের হাসপাতালে মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বেড়েছে। অনেক হাসপাতালে রোগীদের অবহেলা করার অভিযোগ উঠেছে। তবে নবনির্মিত আয়ুর্বেদিক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সমস্ত করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বেড সংখ্যা খুব কম থাকা সত্ত্বেও আয়ুর্বেদিক এই হাসপাতালে ৬০০ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
জানিয়ে দি, এই হাসপাতালে ৪০ জন আয়ুর্বেদিক এবং ৫ জন এলোপ্যাথিক চিকিৎসক রয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে একজন করোনা রোগীকে ১০-১৪ দিনের মধ্যে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়েছে। হাসপাতালের এই সাফল্যের পর অনেকেই বলেছেন ভারতীয় জনগণকে এবং ভারত সরকারকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার প্রতি আরো জোর দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এতে একদিকে যেমন মানুষের সুস্থতা বাড়বে তেমনি দেশ আর্থিকভাবে শক্তিশালী হবে।
from India Rag https://ift.tt/34MaoDo
No comments:
Post a Comment