গুয়াহাটিঃ অসমে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর দলের সংখ্যালঘু মোর্চাকে বন্ধ করে দিল বিজেপি। বুধবার দলের সাধারণ সম্পাদক রাজদীপ রায় জানান, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মুসলিমরা বিজেপিকে ভোট দেয়নি। আর এই কারণে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কেন্দ্র আর এলাকায় বিজেপি দাঁত ফোটাতে ব্যর্থ হয়েছে। এরপরই অসম বিজেপি সিদ্ধান্ত নেয় যে, তাঁরা বুথ, জেলা এবং রাজ্যস্তর থেকে দলের সংখ্যালঘু মোর্চা তুলে দেবে।
রাজদীপ রায় জানান, ‘অসমের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর আমরা বিশ্লেষণ করে দেখি যে, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা আমাদের ফল গতবারের থেকেও অনেক খারাপ হয়েছে। মুসলিমরা আমাদের ভোট দেয়নি। সব ভোট বিরোধী শিবিরে গিয়ে পড়েছে। ওঁরা এক হয়ে বিরোধী শিবিরে ঝুঁকে যাওয়ার ফলে আমাদের ফলাফলে প্রভাব পড়েছে। আর এই কারণেই আমরা রাজ্যের সংখ্যালঘু মোর্চাকে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তিনি এও জানান যে, সংখ্যালঘু মোর্চা বিষয়ক পরবর্তী সিদ্ধান্ত রাজ্যের বিজেপি সভাপতি রঞ্জিত কুমার দাস নেবেন।
রাজদীপ রায় আরও বলেন, ‘অসমে আমরা জিতেছি ঠিকই, কিন্তু ফলাফলে খুশি নই। আমরা আরও বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসতাম। আমাদের কম আসন হওয়া নিয়ে আমরা হাইকম্যান্ডের সঙ্গে কথা বলল আর কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করব।” তিনি জানান, ‘রাজ্যের বিরোধী দলগুলো মুসলিম ভোট এক করেও আমাদের হারাতে পারেনি, এটা আমাদের পক্ষে শুভ সঙ্কেত।”
অসম বিজেপির কাছাড় জেলার কমিটি জানিয়েছে যে, এলাকার সংখ্যালঘু ভোটাররা বিজেপির থেকে কংগ্রেস আর AIUDF এর জোটকে বেশি বিশ্বাস করেছে। আর তাঁর প্রভাব ইভিএমে পড়েছে। বিজেপির কাছাড় জেলার জেলা সভাপতি বিমলেন্দু রায় বলেন, ‘আমরা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সবাইকেই দিই। কোনও সময় ধর্ম, জাত-পাত দেখিনা। কিন্তু আমাদের জেলার মুসলিমরা তামাম সরকারি সুবিধা পেয়েও আমাদের ভোট না দিয়ে কংগ্রেস জোটকে ভোট দিয়েছে। কিন্তু হিন্দু ভোটাররা ঐক্যবদ্ধ নয়। হিন্দু ভোট ভাগাভাগি হয়েছে। এটা হিন্দুদের শেখা উচিৎ।”
আরেকদিকে, অসম বিজেপির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দলের বিতর্কিত নেতা শিলাদিত্য দেব। তিনি বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদীর সবকা সাথ সবকা বিকাশ মন্ত্র মুসলিমদের মন জয় করতে ব্যর্থ। ওদের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ওদের ধর্ম। উন্নয়ন আর সবাইকে সাথে নিয়ে চলাকে প্রাধান্য দেয় না ওঁরা।”
from India Rag https://ift.tt/3ejPX6m
No comments:
Post a Comment