
নয়াদিল্লি: করোনার দোসর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (Black Fungus) । রাজ্যে-রাজ্যে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে মিউকরমাইকোসিস (Mucormycosis) বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। গোটা দেশে ইতিমধ্যেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ১২ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে ইতিমধ্যেই মহামারী (Epidemic) হিসেবে ঘোষণা করেছে বিভিন্ন রাজ্যের সরকার। কেন্দ্রের তরফেও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নিয়মিত রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধের বরাদ্দও বাড়িয়েছে কেন্দ্র। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য প্রায় ৩০ হাজার অ্যাম্ফোটিরিসিন-বি (Amphotericin-b) বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Govt)।
একা করোনা রক্ষে নেই দোসর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। করোনা থেকে মুক্ত হওয়ার পরে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস একটি ছত্রাকজনিত রোগ। ডায়াবেটিক (Diabetic) রোগীদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এছাড়াও যাঁরা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ নিচ্ছেন ও যাঁরা বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছেন তাঁদের এই রোগে হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘকালীন রোগভোগের পর শরীরের রোগ প্রতিরোধ কমে যায়। এর ফলে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
কাদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি?
১. AIIMS-এর প্রকাশিত গাইডলাইন অনুযায়ী, ডায়েবেটিক রোগী যাঁদের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে না তাঁদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এছাড়াও স্টেরয়েডে ডায়াবেটিস বা টসিলিজুমাবে আক্রান্ত রোগীদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে।
২. ইমিউনোসপ্রেসেন্ট বা ক্যান্সার (Cancer) রোগের চিকিত্সা যাঁদের চলছে বা দীর্ঘকাল ধরে যাঁদের কোনও শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে, এমন রোগীদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
৩. যে রোগীরা হাই ডোজের স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দীর্ঘকাল ধরে খেয়ে চলেছেন তাঁদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
৪. করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর অনেকেরই শারীরিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক হয়ে পড়ছে। তাঁদের নাসাল প্রংস বা মাস্ক, ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। এমন রোগীদেরও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকছে।
এক্ষেত্রে AIIMS-এর তরফে প্রকাশ করা ওই গাইডলাইনে বলা হয়েছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি যাঁদের বেশি, তাঁদের নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করতে হবে চিকিৎসকদের। যে রোগীরা করোনামুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন তাঁদের দিকেও নজর রাখতে হবে। বিশেষত চক্ষু বিশেষজ্ঞদের এক্ষেত্রে আলাদা করে সজাগ দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দিয়েছে AIIMS।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১১ হাজার ৭১৭।
The post ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, বাড়তি ওষুধ বরাদ্দ কেন্দ্রের appeared first on Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper.
from Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper https://ift.tt/3bU3PCQ
No comments:
Post a Comment