
ঢাকা: টিকটক (Tiktok) ভিডিও করেই দিন কাটত হৃদয়ের। পিছনে চলত নারী পাচার। সেই সূত্রে বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে এক কিশোরীকে পাচার করে ভারতে পাঠায়। অভিযুক্ত নাম রিফাজুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়। সে ছাড়া এই চক্রের আরও চারজন ভারতীয় পুলিশের জালে পড়েছে।
ধৃতদের বাংলাদেশ ফেরত এনে তদন্তের পরবর্তী প্রক্রিয়া চালু করতে চায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (DMP)। যে ভাইরাল ভিডিও সূত্র ধরে টিকটক হৃদয় ও বাকিদের সম্পর্কে ভারত সরকারকে তথ্য পাঠানো হয়েছিল সেই তথ্য নিয়েই তদন্ত শুরু হচ্ছে।
বাংলাদেশি কিশোরীকে ভারতের কেরল রাজ্যে পাচার করে টিকটক হৃদয় গ্যাং। শুরু হয় দৈহিক ও মানসিক নির্যাতন। ঢাকা পুলিশ জানাচ্ছে, ওই কিশোরীকে টিকটক ভিডিও দেখিয়ে প্রেমে ফুঁসলিয়ে পাচার করা হয়েছিল।
কেরল থেকে ওই কিশোরীকে কর্নাটকের (Karnataka) একটি পতিতাপল্লীতে পাচার করা হয়। সেখানে নির্যাতনের ভিডিও আপলোড করেই নিজেদের চিহ্নিত করেছিল হৃদয়। ভিডিও ভাইরাল হয়। বাংলাদেশে এই ভিডিও ছড়াতেই কিশোরী ও নির্যাতনকারীদের পরিচয় নিয়ে সোশ্যাল সাইটে লেখালেখি শুরু হয়।ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার সেল তদন্তে নামে। হাতে আসে টিকটক হৃদয়ের বিবরণ। সেই সূত্র ধরে ভারত সরকারের কাছে তথ্য পাঠানো হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (DMP) জানাচ্ছে, ভারতে যৌন নির্যাতনের শিকার ওপর কিশেরীর বাড়ি কিশোরগঞ্জে। ২০১৪ সালে কুয়েত থাকা এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সেই বিয়ে শ্বশুরবাড়ির কেউ মেনে নেয়নি। বিয়ের পর তাকে শ্বশুরবাড়ির কেউ মেনে নেয়নি। প্রায় ৫ বছর পর পর্যন্ত বাপের বাড়ি কিশোরঞ্জেই ছিল। সৌদি আরবে কাজের জন্য দালাল চক্রকে টাকা দেওয়ার নাম করে ঢাকা থেকে নিখোঁজ হয় সেই কিশোরী।
তদন্তে উঠে এসেছে ঢাকায় আসার পরেই কিশোরীর সঙ্গে যোগাযোগ হয় টিকটক হৃদয় গ্যাংয়ের সঙ্গে। তাকে প্রেমে ফুঁসলিয়ে ভারতে নিয়ে গিয়ে পতিতাপল্লীতে বিক্রি করা হয়। তার আগে গণধর্ষিতা হয় কিশোরী। ভারতে ধরা পড়া অভিযুক্ত ও কিশোরীকে বাংলাদেশে দ্রুত আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে আলোচনা হবে। সাহায্য নেওয়া হচ্ছে ইন্টারপোলের।
The post বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি কিশোরী ধর্ষণে অভিযুক্ত ঢাকার টিকটক হৃদয় appeared first on Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper.
from Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper https://ift.tt/3ftjmM4
No comments:
Post a Comment